ভৈরবে চোরাই পথে আমদানীকৃত মোবাইল বাজার সয়লাব।। বৈধ ব্যবসায়ীরা বিপাকে।। দেখার কেউ নেই।। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ৪৫ Time View

৭ অক্টোবর, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরবে চোরাই পথে আমদানীকৃত মোবাইল বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। শহরের প্রায় দোকানে এখন চোরাই মোবাইল বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগ বৈধ মোবাইল ব্যবসায়ীদের। ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার আখাউড়া, সিলেটের জাফলং এলাকার ডাউকি, বেনাপোল সীমান্ত পথে অবৈধভাবে শুল্ক না দিয়ে অবাধে প্রতিদিন হাজার হাজার মোবাইল বাংলাদেশে ঢুকছে বলে জানা যায়। এক শ্রেনীর চোরাকারবারীরা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সরকারকে ট্যাক্স না দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর মডেল মোবাইল চোরাইভাবে আমদানী করছে। ক্রেতারা  চোরাই মোবাইল কিনছে সাশ্রয়ী মূল্যে। একারনে অনেক ক্রেতা বৈধ মোবাইল বেশী দামে কিনতে আগ্রহী নয়। কারন প্রতিটি মোবাইল নতুন কেনার পর ব্যবহারের দিক দিয়ে কোন পার্থক্য নেই। শুল্ক ফাঁকি দেয়া হচ্ছে কিনা তা ক্রেতাদের দেখার বিষয় নয়। অনেক দোকানী বলেন চোরাই মোবাইল বিক্রির কারনে বিভিন্ন কোম্পানীর বৈধ এজেন্টগন ব্যবসায় লালবাতি ধরেছে। তাদের দোকানে বা শোরুমে বেশী দাম দিয়ে কোন ক্রেতা মোবাইল নিতে আসেনা, এমন অভিযোগ এজেন্ট মালিকগনের।

ভৈরবের মোবাইল শোরুম মালিক কামরুল ইসলাম লিটন বলেন, গত কয়েকমাস যাবত বাজারে চোরাই বা শুল্কহীন মোবাইলে সয়লাব হয়ে গেছে। ভৈরব বাজারে প্রায় ৬০/৭০ টি মোবাইল দোকান ও শোরুম রয়েছে। এসব  বেশীর ভাগ দোকানে এখন অবাধে বিক্রি হচ্ছে চোরাই মোবাইল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বা শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা কোন দোকানে অভিযান পরিচালনা করতে আসেনা। যদি অভিযান চালাত তবে ভৈরব বাজার থেকে হাজার হাজার অবৈধ মোবাইল উদ্ধার করতে পারত। চোরাই মোবাইল বিক্রির কারনে আমরা বৈধ ব্যবসায়ীরা পথে বসার উপক্রম হয়েছি। অনেকের ব্যবসায় কিছুদিন পর লালবাতি ধরবে। 

আরেক ব্যবসায়ী রাকিব জানান, প্রতিদিন ঢাকা, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া থেকে হাজার হাজার মোবাইল ভৈরবে আমদানী হচ্ছে। একটি সিন্ডিকেট এসব মোবাইল বিক্রি করছে অবাধে। কেউ দেখার নেই।  সারাদিন বসে এক দুটি মোবাইল বিক্রি করতে পারিনা। আমি দুটি কোম্পানীর এজেন্ট কিন্ত বৈধ মোবাইল বেশী দাম দিয়ে কোন ক্রেতা কিনতে আসেনা। কারন বিভিন্ন কোম্পানীর বৈধ মোবাইলের দামের সাথে চোরাই মোবাইলের দাম পার্থক্য ৪/৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ একই মোবাইল চোরাই হলে ক্রেতারা ৪/৫ হাজার টাকা কম দামে কিনতে পারে। প্রশাসন বা শুল্ক বিভাগ এবিষয়টি ব্যবস্থা না নিলে আমাদের ব্যবসা গুটিয়ে বাড়ী যেতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ভৈরবে চোরাই পথে আমদানীকৃত মোবাইল বাজার সয়লাব।। বৈধ ব্যবসায়ীরা বিপাকে।। দেখার কেউ নেই।। 

Update Time : ১২:০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

৭ অক্টোবর, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরবে চোরাই পথে আমদানীকৃত মোবাইল বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। শহরের প্রায় দোকানে এখন চোরাই মোবাইল বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগ বৈধ মোবাইল ব্যবসায়ীদের। ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার আখাউড়া, সিলেটের জাফলং এলাকার ডাউকি, বেনাপোল সীমান্ত পথে অবৈধভাবে শুল্ক না দিয়ে অবাধে প্রতিদিন হাজার হাজার মোবাইল বাংলাদেশে ঢুকছে বলে জানা যায়। এক শ্রেনীর চোরাকারবারীরা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সরকারকে ট্যাক্স না দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর মডেল মোবাইল চোরাইভাবে আমদানী করছে। ক্রেতারা  চোরাই মোবাইল কিনছে সাশ্রয়ী মূল্যে। একারনে অনেক ক্রেতা বৈধ মোবাইল বেশী দামে কিনতে আগ্রহী নয়। কারন প্রতিটি মোবাইল নতুন কেনার পর ব্যবহারের দিক দিয়ে কোন পার্থক্য নেই। শুল্ক ফাঁকি দেয়া হচ্ছে কিনা তা ক্রেতাদের দেখার বিষয় নয়। অনেক দোকানী বলেন চোরাই মোবাইল বিক্রির কারনে বিভিন্ন কোম্পানীর বৈধ এজেন্টগন ব্যবসায় লালবাতি ধরেছে। তাদের দোকানে বা শোরুমে বেশী দাম দিয়ে কোন ক্রেতা মোবাইল নিতে আসেনা, এমন অভিযোগ এজেন্ট মালিকগনের।

ভৈরবের মোবাইল শোরুম মালিক কামরুল ইসলাম লিটন বলেন, গত কয়েকমাস যাবত বাজারে চোরাই বা শুল্কহীন মোবাইলে সয়লাব হয়ে গেছে। ভৈরব বাজারে প্রায় ৬০/৭০ টি মোবাইল দোকান ও শোরুম রয়েছে। এসব  বেশীর ভাগ দোকানে এখন অবাধে বিক্রি হচ্ছে চোরাই মোবাইল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বা শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা কোন দোকানে অভিযান পরিচালনা করতে আসেনা। যদি অভিযান চালাত তবে ভৈরব বাজার থেকে হাজার হাজার অবৈধ মোবাইল উদ্ধার করতে পারত। চোরাই মোবাইল বিক্রির কারনে আমরা বৈধ ব্যবসায়ীরা পথে বসার উপক্রম হয়েছি। অনেকের ব্যবসায় কিছুদিন পর লালবাতি ধরবে। 

আরেক ব্যবসায়ী রাকিব জানান, প্রতিদিন ঢাকা, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া থেকে হাজার হাজার মোবাইল ভৈরবে আমদানী হচ্ছে। একটি সিন্ডিকেট এসব মোবাইল বিক্রি করছে অবাধে। কেউ দেখার নেই।  সারাদিন বসে এক দুটি মোবাইল বিক্রি করতে পারিনা। আমি দুটি কোম্পানীর এজেন্ট কিন্ত বৈধ মোবাইল বেশী দাম দিয়ে কোন ক্রেতা কিনতে আসেনা। কারন বিভিন্ন কোম্পানীর বৈধ মোবাইলের দামের সাথে চোরাই মোবাইলের দাম পার্থক্য ৪/৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ একই মোবাইল চোরাই হলে ক্রেতারা ৪/৫ হাজার টাকা কম দামে কিনতে পারে। প্রশাসন বা শুল্ক বিভাগ এবিষয়টি ব্যবস্থা না নিলে আমাদের ব্যবসা গুটিয়ে বাড়ী যেতে হবে।