২৩ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে চিরকুট লিখে সানজিদা বেগম (২০ ) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করল। আজ সোমবার সকালে পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধু সানজিদা ওই এলাকার সুমন খানের মেয়ে ও গ্রীস প্রবাসী অন্তর মিয়ার স্ত্রী। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ২ বছর আগে পঞ্চবটি এলাকার আলকাছ মিয়ার ছেলে অন্তর মিয়ার সাথে প্রেম করে বিয়ের করেন সানজিদা। বিয়ের পর অন্তর বিদেশ চলে গেলেও মেনে নেয়নি তার পরিবার। এদিকে বিদেশ গিয়ে অন্তর তার স্ত্রীর সাথে ফোনে যোগাযোগ থাকলেও তাদের মধ্যে মন কষাকষি চলছিল। মৃত্যুর আগে সানজিদা একটি চিরকুট লিখে যায় । চিরকুটে লিখা ছিলো আমার স্বামী আমাকে অবহেলা করে। তার সাথে আমার যেকোন আলোচনায় ঝগড়া হয়। আমি তার অবহেলা সহ্য করতে পরছিনা। এছাড়া মনের কিছু দুঃখের বিষয় চিরকুটে লিখে আজ সোমবার সকাল ৬টায় সানজিদা আত্মহত্যা করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা সুমন খান বলেন, মেয়ের পছন্দে অন্তরের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে তার পরিবার আমার মেয়েকে মেনে নেয়নি। প্রাবাসে থেকেও অন্তর ফোনে প্রায় সময় আমার মেয়ের সাথে বাজে আচরণ করতো। স্বামী ও তার পরিবারের অবহেলা সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসমত উল্লাহ বলেন, প্রবাসী স্বামীর সাথে নিহত সানজিদার বনিবনা হতো না। চিরকুট থেকে এমটাই বুঝতে পেরেছি। খবর পেয়ে সানজিদার মরদেহ তার বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করতে কিশোরগন্জ পাঠায়। । ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নিব।