অটোরিকশায় বাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় কলেজ শিক্ষার্থী।। থানায় মামলা।। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩১৯ Time View

 ২০ সেপ্টেম্বর,  নিজস্ব প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়িতে ফেরার পথে চালক ও সহযোগীর বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা অটোরিকশাচালক ও তাঁর সহযোগীকে আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে  থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।

জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্র বরিশালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। গত বুধবার রাতে তিনি বরিশাল থেকে বিভিন্ন বাহনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে অটোরিকশায় বাড়িতে যাওয়ার পথে তিনি ধর্ষণের শিকার হন।

মামলার  এজাহারে বলা হয়, ছাত্রীটি বরিশাল থেকে কিশোরগঞ্জে বাড়িতে আসার জন্য গত বুধবার  বেলা দুইটার দিকে ঢাকার বাসে ওঠেন। রাত ৯টার দিকে বাস ঢাকার সায়েদাবাস বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। এরপর সোয়া ৯টায় সায়েদাবাদ থেকে ভৈরবের বাসে ওঠেন এবং পৌঁছান দিবাগত রাত ১২টায়। পরে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার বাস না থাকায় তিনি একটি অটোরিকশায় ওঠেন। সেটিতে তিন পুরুষ ও এক নারী যাত্রী ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর চালক ফোন দিয়ে তাঁর এক সহযোগীকে গাড়িতে তুলে নেন।

এজাহারে বলা হয়, দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে বাদী ক্লান্ত থাকায় একপর্যায়ে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। এর মধ্যে গাড়ির অন্য যাত্রীরা নেমে যান। ঘুম থেকে উঠে বাদী দেখেন, গাড়িতে তিনি এবং চালক ও সহযোগী। দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে চালক তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থতার কথা জানিয়ে এই গাড়িতে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এরপর কুলিয়ারচরের কলাকুপার চম্পাকান্দা এলাকায় তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে নিয়ে যান। এরপর টানাটানি করে দুজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা কেড়ে নেন। নিরুপায় হয়ে গভীর রাতে তিনি একা একা হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন একজনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরে বুঝতে পারি আমাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আরেক সহযোগীকে ফোন করে এনেছিলেন অটোচালক। অনেক কান্নাকাটি করেও দুজনের মন গলাতে পারিনি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। নানা প্রক্রিয়ায় তাঁদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

অটোরিকশায় বাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় কলেজ শিক্ষার্থী।। থানায় মামলা।। 

Update Time : ০৯:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 ২০ সেপ্টেম্বর,  নিজস্ব প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়িতে ফেরার পথে চালক ও সহযোগীর বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা অটোরিকশাচালক ও তাঁর সহযোগীকে আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে  থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।

জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্র বরিশালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। গত বুধবার রাতে তিনি বরিশাল থেকে বিভিন্ন বাহনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে অটোরিকশায় বাড়িতে যাওয়ার পথে তিনি ধর্ষণের শিকার হন।

মামলার  এজাহারে বলা হয়, ছাত্রীটি বরিশাল থেকে কিশোরগঞ্জে বাড়িতে আসার জন্য গত বুধবার  বেলা দুইটার দিকে ঢাকার বাসে ওঠেন। রাত ৯টার দিকে বাস ঢাকার সায়েদাবাস বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। এরপর সোয়া ৯টায় সায়েদাবাদ থেকে ভৈরবের বাসে ওঠেন এবং পৌঁছান দিবাগত রাত ১২টায়। পরে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার বাস না থাকায় তিনি একটি অটোরিকশায় ওঠেন। সেটিতে তিন পুরুষ ও এক নারী যাত্রী ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর চালক ফোন দিয়ে তাঁর এক সহযোগীকে গাড়িতে তুলে নেন।

এজাহারে বলা হয়, দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে বাদী ক্লান্ত থাকায় একপর্যায়ে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। এর মধ্যে গাড়ির অন্য যাত্রীরা নেমে যান। ঘুম থেকে উঠে বাদী দেখেন, গাড়িতে তিনি এবং চালক ও সহযোগী। দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে চালক তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থতার কথা জানিয়ে এই গাড়িতে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এরপর কুলিয়ারচরের কলাকুপার চম্পাকান্দা এলাকায় তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে নিয়ে যান। এরপর টানাটানি করে দুজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা কেড়ে নেন। নিরুপায় হয়ে গভীর রাতে তিনি একা একা হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন একজনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরে বুঝতে পারি আমাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আরেক সহযোগীকে ফোন করে এনেছিলেন অটোচালক। অনেক কান্নাকাটি করেও দুজনের মন গলাতে পারিনি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। নানা প্রক্রিয়ায় তাঁদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।