১২ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি :
ভৈরবে জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমানের বাহিস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা । এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভৈরব দুর্জয় মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে বিদ্যালয়ে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে কয়েকশত শিক্ষার্থী।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকায় অবস্থিত জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমানের দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে কয়েকদিন যাবত স্কুলের ছাত্ররা মানববন্ধন, মিছিল, সমাবেশ করে যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ডুবতে বসেছে। দুর্নীতিতে জড়িত ছিল ১২ বছর যাবত দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ সভাপতি লোকমান হোসেন। স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের দাবি গত ১২ বছরে প্রধান শিক্ষক কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। এবিষয়ে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রিদুয়ান আহমেদ রাফি’র নিকট এক লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রিদুওয়ান আহমেদ রাফি এর নির্দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আশস্থ করেন যে আজ দুপুরের মধ্য শিক্ষার্থীদের দাবি মানা হবে। এসময় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী প্রত্যয় বলেন, প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরর করেছেন। কিন্তু মাস পার হয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই আজ আমরা ভৈরব – কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছি। প্রধান শিক্ষককে যদি বহিস্কার না করা হয় তাহলে আমরা আরো কঠিন কর্মসূচি পালন করবো।
বৈষশ্য বিরোধী শিক্ষার্থী জয় বলেন, বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের বহিস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রিদুওয়ান আহমেদ রাফি জানান, আজ দুপুরের দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের বহিস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন। পরবর্তীতে আমি তাদেরকে আশস্ত করি আজকের মধ্য অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরে এই শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে বিদ্যালয়ে ফিরে যান।