১১ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে মেঘনা নদীর ভাঙনরোধে দ্রুত কাজ চলছে। ভাঙন এলাকায় গত চারদিনে ৫ হাজার জিও ব্যাগ ( বালির বস্তা) ফেলা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ( বিপিসি) ‘র চেয়ারম্যান ( সচিব) মোঃ আমিন উল আহসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিএডিসি’র এমডি মোঃ আশরাফুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কেন্দ্রীয় অঞ্চলের চীফ ইন্জিনিয়ার মোঃ আসাদুজ্জামান, ব্রেগিডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন আতংকে বিএডিসি ভৈরব গুদামের ৫০০ মেঃ টন সার পাশের গুদামে স্থানান্তর করা হচ্ছে। গত রোববার ভোররাতে ভৈরব বাগানবাড়ী এলাকার ১৬০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে বিএডিসি’র দুটি সার গুদাম ও যমুনা অয়েল কোম্পানীর ডিপো হুমকির মুখে পড়ে। এছাড়া ভাঙন এলাকা থেকে ৪০ মিটার দূরে মেঘনা রেলওয়ে সেতুটিও হুমকির সম্মূখীন। ভাঙন প্রতিরোধ করতে না পারলে শতকোটি টাকা সরকারের ক্ষতি হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের চীফ ইন্জিনিয়ার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, চারদিনে ভাঙন এলাকায় ৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এখন আর ভাঙন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিনের মধ্য আরও ২০ হাজার জিও ব্যাগ ভাঙন এলাকায় ফেলা হবে। ২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হলে আপাতত ভাঙনের বিপদ কেটে যাবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আমিন উল আহসান আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ভাঙন এলাকাটি প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কাজ করার পাশাপাশি আমরাও কাজ করছি। সরকারী প্রতিষ্ঠানটি নদীগর্ভে বিলীন হলে সরকার, কৃষক, জনগন ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
বিএডিসির এমডি মোঃ আশারাফুজ্জামান জানান, ভাঙনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে আমাদের গুদামের সামনের এলাকা। আমরা আপাতত ৫০০ টন সার অন্য গুদামে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছি। সার লোড আনলোডের জন্য গুদামের পিছনদিকে বিকল্প রাস্তা করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিব। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ভাঙনরোধে দ্রুত কাজ চলছে। আমরা সর্বক্ষণ নজর রাখব যাতে গুদামের মজুত সারের ক্ষতি না হয়। ক্ষতি হলে কৃষক, ডিলার, সরকার ক্ষতির মুখে পড়বে।