১ সেপ্টেম্বর, নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বিসিবি’র সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামী করে কিশোরগন্জ আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে কিশোরগন্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট পার্থ ভদ্র’র আদালতে মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। ভৈরব শহরের লক্ষীপুর গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে বাদী মামুন।
মামলায় উপজেলা আ,লীগের সহ- সভাপতি মোল্লা সাখাওয়াত, সেলিম খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম সেন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল হেকিম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন জামাল, আ,লীগ নেতা মির্জা সুলাইমান, শেফাতউল্লাহ, হাবিবুর রহমান ইকবাল, রাকিব রায়হান, অলিউর রহমান অলিসহ ইউনিয়নের কয়েকজন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ,লীগের কয়েকজন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১১৭ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার অভিযোগ, গত ১৯ জুলাই দুপুরে ভৈরবের লক্ষীপুর এলাকার শহীদুল্লাহ কায়সার মার্কেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিন নাজমুল হাসান পাপনের নির্দেশে আসামীরা বাদী মামুন মিয়াকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এতে তাকে বাঁচাতে তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়। একারনে ঘটনার ৪৩ দিন পর মামুন মিয়া আজ রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বলেন তিনি জানান। মামলার বিষয়টি কিশোরগন্জ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি এড, স্বপন কুমার সরকার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন বাদীর অভিযোগটি আদালতের বিচারক গ্রহন করে অভিযোগটি ভৈরব থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এখানে উল্লেখ্য এর আগে নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামী করে ২৩৩ জনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় আরও দুটি মামলা ও কিশোরগন্জ সদর থানায় ৮৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা করা হয়েছে। তিনটি মামলায় প্রধান আসামী পাপন। তার মধ্য দুটি মামলা হলো ভৈরবে গত ১৯ জুলাই বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও রুবেল নামের একজন গুরুতর আহতের ঘটনায় এবং কিশোরগন্জে আগুনে পুড়ে দুজন নিহতের ঘটনায় একটি মামলা।
রোববার দায়ের করা মামলার বাদী মামুন মিয়া বলেন, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিন আমি ঘটনাস্থলে গাড়ী রেখে বাসায় যাওয়ার সময় পাপনের নির্দেশে আসামীরা আমার উপর দেশীয় অস্ত্র দা, বল্লম, লাঠিসহ বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে আক্রমন করে। এসময় তারা আমার দুই হাতে কোপ দিলে আমি গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকায় চিকিৎসা নিলে ডাক্তারগন আমাকে বাঁচাতে একটি হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে ফেলে দেয়। এতে আমি পঙ্গু হয়ে গেছি। আমি বিচার পেতে আদালতে মামলা করেছি।
এবিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ বলেন, শুনেছি নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামী করে ১১৭ জনের বিরুদ্ধে মামুন নামের এক ব্যক্তি আদালতে মামলা করেছে। ঘটনার দিন তাকে কারা আহত করেছে আমরা জানিনা। মামলাটি আমরা আইনি মোকাবেলা করব।