২২ আগস্ট, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরব থানায় আগুন ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় অজ্ঞাত ১০/১৫ হাজার লোককে আসামী করে পুলিশ একটি মামলা করেছে। ঘটনার ১৬ দিন পর গতকাল বুধবার রাতে থানার এএসআই কামাল বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মামলার বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নির্শ্বিত করেছেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে এদিন সন্ধ্যায় ১০/১৫ হাজার দুর্বত্ত ও দুষ্কৃতিকারী ভৈরব থানায় আগুন লাগিয়ে দেয় এবং এতে কাগজপত্রসহ অন্যান্য জিনিষ পুড়ে যায় ও আসবাপত্র, অস্ত্র লুট করে। এদিন পুলিশের তিনটি গাড়ীসহ থানায় জব্দকৃত প্রায় ৩০ টি বিভিন্ন মডেলের গাড়ী আগুনে জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। শুধু তাই নয় ঘটনার দিন আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পালিয়ে গেলে দুর্বত্তরা থানার সব অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। মুলত এদিন দুর্বত্তরা থানাটি ধ্বংস করে দেয়।
পরে গত ৯ আগস্ট ভৈরব স্টেডিয়ামে থানার অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আল্টিমেটাম দিলে গত ১৫ আগস্টের মধ্য পুলিশ থানার অস্থায়ী কার্যালয়ে যোগদান করে। এদিকে ছাত্র জনতা থানার লুট হওয়া বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার করে স্থানীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জমা দিলে গত ১৭ আগস্ট অস্ত্রগুলি পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। গতকাল বুধবার ভৈরব চেম্বারের পক্ষ থেকে সহযোগীতা বাবত থানার ওসির হাতে ৩০ টি চেয়ার ও ১০ টি টেবিল উপহার দিলে থানার ভিতরে সিমিত আকারে কার্যক্রম শুরু করে পুলিশ।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গত ৫ আগস্ট ঘটনার পর থানায় কিছুই ছিলনা। ওয়ারলেস, কম্পিউটার, কাগজপত্র, অস্ত্র, চেয়ার – টেবিল, গাড়ী সবকিছু দুর্বত্তরা পুড়িয়ে দেয়, লুট করে নিয়ে যায়। বুধবার ভৈরব চেম্বারের পক্ষ থেকে কিছু চেয়ার টেবিল দিয়ে সহযোগীতা করার পর থানায় বসার পরিবেশ হয়েছে। থানায় আগুন লুটের ঘটনায় অজ্ঞাত ১০/১৫ হাজার লোককে আসামী করে বুধবার রাতে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে , স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে মামলার আসামীদেরকে ধীরে ধীরে গ্রেফতার করে অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনবে। থানার কিছু অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি, অস্ত্রগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।