ভৈরবের ধ্বংসকৃত থানা  পুর্ণগঠনে দ্রুত কাজ চলছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • ২০ Time View

১৮ আগস্ট, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরব থানা পুর্ণগঠনে দ্রুত কাজ চলছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী জিসান নামের এক যুবকের নিজস্ব অর্থায়নে গত কয়েকদিন যাবত একাজ করা হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট ভৈরব থানায় দুর্বত্তরা আগুন লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়। এদিন দুর্বত্তরা অস্ত্র লুটসহ জিনিষপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। থানার দরজা জানালা পর্যন্ত লুট করে দুষ্কৃতিকারীরা। গত ৯ আগস্ট ভৈরব থানা অস্থায়ী কার্যালয় স্থানীয় স্টেডিয়ামে  উদ্বোধন করা হয়। ৫ আগস্ট ঘটনার পর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পালিয়ে গেলে এদিন থেকে  থানার কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে অস্থায়ী কার্যালয়ে এখন কার্যক্রম চললেও থানায় পুলিশের কার্যক্রম চলছেনা। গতকাল শনিবার স্থানীয় সেনা ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া অস্ত্র পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। থানা ধ্বংস করার পর অফিসে কিছুই ছিলনা। 

ব্যবসায়ী জিসান বলেন, পুলিশ ও ছাত্রদের অনুরোধে আমি ভৈরব ধ্বংসকৃত  থানা পুর্ণগঠনে কাজ করছি। গত কয়েকদিন আমি থানার ইলেক্ট্রিক, রং ও দরজা – জানালা মেরামত, নুতন করে ফিটিং করার কাজ করছি। আমি আমার নিজস্ব অর্থায়নে মানবিক কারনে পুলিশ ও জনস্বার্থে  কাজ করে দিচ্ছি।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, জিসান তার নিজ উদ্যেগে থানা পুর্ণগঠনে কাজ করছে। তার কাজ শেষ হলে পুলিশের ফান্ডসহ ভৈরববাসীর সহায়তায় আসবাপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিষ নতুনভাবে কিনে থানার কার্যক্রম শুরু করব।  ঘটনার পুলিশের গাড়ী জ্বালিয়ে দেয়ার পর কিশোরগন্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে একটি গাড়ী দেয়া হয়েছে।  তবে থানার ভিতরে কার্যক্রম শুরু করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

১০ম গ্রেডের দাবিতে ভৈরবে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ভৈরবের ধ্বংসকৃত থানা  পুর্ণগঠনে দ্রুত কাজ চলছে

Update Time : ০৯:০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

১৮ আগস্ট, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরব থানা পুর্ণগঠনে দ্রুত কাজ চলছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী জিসান নামের এক যুবকের নিজস্ব অর্থায়নে গত কয়েকদিন যাবত একাজ করা হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট ভৈরব থানায় দুর্বত্তরা আগুন লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়। এদিন দুর্বত্তরা অস্ত্র লুটসহ জিনিষপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। থানার দরজা জানালা পর্যন্ত লুট করে দুষ্কৃতিকারীরা। গত ৯ আগস্ট ভৈরব থানা অস্থায়ী কার্যালয় স্থানীয় স্টেডিয়ামে  উদ্বোধন করা হয়। ৫ আগস্ট ঘটনার পর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পালিয়ে গেলে এদিন থেকে  থানার কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে অস্থায়ী কার্যালয়ে এখন কার্যক্রম চললেও থানায় পুলিশের কার্যক্রম চলছেনা। গতকাল শনিবার স্থানীয় সেনা ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া অস্ত্র পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। থানা ধ্বংস করার পর অফিসে কিছুই ছিলনা। 

ব্যবসায়ী জিসান বলেন, পুলিশ ও ছাত্রদের অনুরোধে আমি ভৈরব ধ্বংসকৃত  থানা পুর্ণগঠনে কাজ করছি। গত কয়েকদিন আমি থানার ইলেক্ট্রিক, রং ও দরজা – জানালা মেরামত, নুতন করে ফিটিং করার কাজ করছি। আমি আমার নিজস্ব অর্থায়নে মানবিক কারনে পুলিশ ও জনস্বার্থে  কাজ করে দিচ্ছি।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, জিসান তার নিজ উদ্যেগে থানা পুর্ণগঠনে কাজ করছে। তার কাজ শেষ হলে পুলিশের ফান্ডসহ ভৈরববাসীর সহায়তায় আসবাপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিষ নতুনভাবে কিনে থানার কার্যক্রম শুরু করব।  ঘটনার পুলিশের গাড়ী জ্বালিয়ে দেয়ার পর কিশোরগন্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে একটি গাড়ী দেয়া হয়েছে।  তবে থানার ভিতরে কার্যক্রম শুরু করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।