১৩ জুলাই, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে পুলিশের এএসআই মোসাব্বির ডিবি পরিচয় দিয়ে এক প্রবাসীকে ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী নাম বাচ্চু তালুকদার এবং তার বাড়ী পৌর শহরের গাছতলাঘাট এলাকায়। সে সাইপ্রাস প্রবাসী ছিল । অভিযুক্ত পুলিশ অষ্টগ্রাম থানায় কর্মরত ছিলেন। গত কয়েকদিন আগে এই প্রবাসী কিশোরগন্জের পুলিশ সুপারের কাছে বিষয়টি অভিযোগ করলে গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত পুলিশ মোসাব্বিরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।অভিযোগে জানা যায়, গত ৩০ মে বিকেলে ভৈরব শহরের চন্ডিবের এলাকার সালাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি অভিযোগকারী বাচ্চু তালুকদারকে তার আইচক্রিম ফ্যাক্টরীতে ডেকে আনে। তার ডাকে সে আইচক্রিম ফ্যাক্টরীতে গেলে দেখতে পায় এএসআই মোসাব্বির ও শফিক নামের এক ব্যক্তি বসে আছে। সেখানে মোসাব্বিরের দ্বিতীয় স্ত্রী বসে ইয়াবা সেবন করছে। এসময় ঘটনা দেখে সে ভয় পেয়ে জানতে চাই এখানে তাকে কেন ডাকা হলো? তার কথা শুনে পুলিশ মোসাব্বির ডিবির পরিচয় দিয়ে তাকে বলে তুই ইয়াবার ব্যবসা করিছ, তাই তোকে গ্রেফতার করলাম। একথা বলেই বাচ্চুর হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। এসময় মোসাব্বির তাকে বলে ৭০ হাজার টাকা দিলে তোকে ছেড়ে দিব। টাকা না দিলে তোর নামে মামলা করে জেলে পাঠাব। ঘটনার বেড়াজালে পরে বাধ্য হয়ে বাচ্চু তার পরিবারকে ঘটনা জানালে তারা ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয় মোসাব্বিরের কাছ থেকে।
অভিযোগকারী বাচ্চু তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, সালাউদ্দিনের সাথে আমার আগে থেকে পরিচয় ছিল। ঘটনার দিন সরল মনে আমি তার ফোন পেয়ে আইচক্রিম ফ্যাক্টরীতে গেলে সে আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়। পুলিশের এএসআই মোসাব্বির অযথা আমাকে মাদক ব্যবসায়ীর ভয় দেখিয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে। পরে ২৫ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকী টাকা দিব দিচ্ছি বলে কালবিলম্ব করতে থাকে। বাধ্য হয়ে আমি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছি।
এরপর ঘটনার রাতে ভৈরব থানার এস আই সাইদুল ইসলামকে অভিযোগকারী বাচ্চু তালুকদার এসকল ঘটনা অবহিত করলে তিনি বলেন এএসআই মোসাব্বির অষ্টগ্রাম থানায় কর্মরত আছে। সে ভৈরব এসে এই ঘটনা করল কিভাবে। এসময় পুলিশ সাইদুল তাকে ( মোসাব্বিরকে) মোবাইলে ফোন করলে ঘটনা স্বীকার করে ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং বাকী টাকা পরে ফেরত দিবে বলে চলে যায়। তারপর দীর্ঘ ৪০ দিনেও মোসাব্বির বাকী টাকা ফেরত না দেয়ায় বাচ্চু তালুকদার তিনদিন আগে এবিষয়ে কিশোরগন্জ পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে ( অভিযোগের কপি যুগান্তর প্রতিনিধির নিকট সংরক্ষিত আছে) ।
কিশোরগন্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখকে আজ শনিবার সকালে মোবাইলে ফোন করলে তিনি যুগান্তরের কাছে অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন এএসআই কিশোরগন্জের অষ্টগ্রাম থানায় কর্মরত থেকে ভৈরবে গিয়ে ডিবির পরিচয়ে ভয় দেখিয়ে মিথ্যা কথায় যদি ৭০ হাজার টাকা অভিযোগকারীর কাছ থেকে আদায় করে থাকে তবে অপরাধ করেছে। বিষয়টি আমি তদন্ত করতে দিয়েছি। আপাতত তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেছি। তদন্তে অপরাধ প্রমানিত হলে তার অফিসিয়াল শাস্তি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এরপর ঘটনার রাতে ভৈরব থানার এস আই সাইদুল ইসলামকে অভিযোগকারী বাচ্চু তালুকদার এসকল ঘটনা অবহিত করলে তিনি বলেন এএসআই মোসাব্বির অষ্টগ্রাম থানায় কর্মরত আছে। সে ভৈরব এসে এই ঘটনা করল কিভাবে। এসময় পুলিশ সাইদুল তাকে ( মোসাব্বিরকে) মোবাইলে ফোন করলে ঘটনা স্বীকার করে ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং বাকী টাকা পরে ফেরত দিবে বলে চলে যায়। তারপর দীর্ঘ ৪০ দিনেও মোসাব্বির বাকী টাকা ফেরত না দেয়ায় বাচ্চু তালুকদার তিনদিন আগে এবিষয়ে কিশোরগন্জ পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে ( অভিযোগের কপি যুগান্তর প্রতিনিধির নিকট সংরক্ষিত আছে) ।
কিশোরগন্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখকে আজ শনিবার সকালে মোবাইলে ফোন করলে তিনি যুগান্তরের কাছে অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন এএসআই কিশোরগন্জের অষ্টগ্রাম থানায় কর্মরত থেকে ভৈরবে গিয়ে ডিবির পরিচয়ে ভয় দেখিয়ে মিথ্যা কথায় যদি ৭০ হাজার টাকা অভিযোগকারীর কাছ থেকে আদায় করে থাকে তবে অপরাধ করেছে। বিষয়টি আমি তদন্ত করতে দিয়েছি। আপাতত তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেছি। তদন্তে অপরাধ প্রমানিত হলে তার অফিসিয়াল শাস্তি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।