৮ জুলাই, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় ১৮ দিন পর ৭৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে জসীম উদ্দিন নামের এক ভূক্তভূগি বাদী হয়ে কুতুব উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে এই মামলাটি ( মামলা নং ৯ (৭) ২৪ ইং) দায়ের করেন। উক্ত মামলার এজাহারে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৫/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। মামলা দায়েরের কথা পুলিশ স্বীকার করেছে। তবে মামলার কোন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

জানা গেছে, গত ১৬ জুন ঈদের আগের দিন মৌটুপি গ্রামের কর্তা বাড়ী ও সরকার বাড়ীর গোষ্টি দুই পক্ষের মধ্য ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ বাধঁলে কর্তা বাড়ীর নাদিম কর্তা (৫৫) গুরুতর আহত হয়ে তিনদিন পর ১৯ জুন হাসপাতালে মারা যায়। পরে ২০ জুন তাকে দাফন করার পর এদিন কর্তা বাড়ীর লোকজন সরকার বাড়ীর প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট চুরির ঘটনা ঘটায়। ঘটনার দিন উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়। পরে কর্তা বাড়ীর নাদিম নিহতের ঘটনায় ৮৩ জনকে আসামী করে নিহতের ভাই বাকী কর্তা থানায় মামলা করে। এমামলায় গত ১ জুলাই ৬৮ জন আসামী কিশোরগন্জ আদালতে জামিন চাইলে বিচারক তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায়।
নাদিম নিহতের ঘটনার ১৮ দিন পর সরকার বাড়ীর জসীম উদ্দিন আজ সোমবার ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় মামলাটি দায়ের করল।
এবিষয়ে মামলার বাদী জসীম উদ্দিন বলেন, খুনের ঘটনায় আমাদের ৮৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলে আমাদের অনেক লোক পলাতক আছেন। তাই মামলাটি করতে বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন নিহত নাদিম ছিল সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ঘটনার দিন সে আহত হলে তাকে পুলিশের ভয়ে সুচিকিৎসা দেয়া হয়নি বলে সে মারা যায়। নাদিম কার আঘাতে আহত হয়েছে তার প্রমান নেই। অথচ কর্তা বাড়ীর লোকজন সরকার বাড়ীর শতাধিক ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট করে কমপক্ষে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি করেছে। তাই আমি মামলাটি ন্যায় বিচার পেতে দায়ের করেছি।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার ১৮ দিন পর তারা মামলাটি করেছে। মৌটুপি গ্রামের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। হত্যা মামলাটি আগেই হয়েছে। আজ সোমবার ভাংচুর, লুটপাটের মামলা করল প্রতিপক্ষরা। দুটি মামলা সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব বলে জানান তিনি।