৪ জুলাই, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে মানব পাচার চক্রের মূলহোতা মিলন মিয়া (৪০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তি শহরের কালীপুর এলাকার মৃত হোসেন মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৪০)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অবৈধ পথে ইউরোপের দেশ ইটালীতে নিতে দুবাই হয়ে লিবিয়া দিয়ে মানব পাচারের অভিযোগ করে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর ফাঁড়ি রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা জান্নাত বেগম। তার স্বামী ওই গ্রামের সাত্তার মিয়ার ছেলে সজল মিয়া দুই বছর আগে লিবিয়া যায়। মানব পাচার চক্রটিকে বড় ধরণের টাকা লেনদেন করলেও এখন স্বামীর সন্ধান পাচ্ছেন না ভোক্তভোগী জান্নাত বেগম। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ভৈরব থানা পুলিশ মিলন মিয়াকে আটক করে। এ ঘটনায় লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের সদস্য খুরশিদ মিয়া, আটককৃত আসামি মিলন মিয়ার মা ও বউকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভোক্তভোগী জান্নাত বেগম জানান, ২ বছর আগে মিলন মিয়ার মাধ্যমে স্বামী সজল মিয়াকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ দিয়ে দুবাই হয়ে লিবিয়া পাঠায়। লিবিয়া যাওয়ার পর ইটালী নেয়ার কথা বলে মিলন মিয়া তার স্ত্রী, মা ও খুরশিদ মিয়ার যোগ সাজেসে প্রথমে ৮ লক্ষ টাকা নেয়। টাকা দেয়ার কয়েকদিন যেতে না যেতেই মিলন জানায় লিবিয়া মাফিয়ার হাতে সজলকে আটক হয়েছে। মাফিয়া থেকে ছাড়িয়ে আনতে তৃতীয় দফায় ১০ লক্ষ টাকা নেয়। টাকা দেয়ার পর থেকে সজলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই স্ত্রী জান্নাতের। নিরুপায় হয়ে স্ত্রী জান্নাত বেগম কয়েকদিন আগে কিশোরগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত ভৈরব থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, আসামি মিলন মিয়াকে আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেই তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মানব পাচার মামলায় বাকী আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।