১ জুলাই, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরব উপজেলা পরিষদের মাঠটি বৃষ্টি নামলেই হাঁটু পানি। গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে বিশাল মাঠটি তলিয়ে গেছে পানিতে। এছাড়া মাঠের আশপাশ এলাকা দেয়ালের ভিতরে জোপজঙ্গলে পরিণত হয়েছে। জলাবদ্ধতা দেখার কেউ নেই। উপজেলার মাঠটি ঈদের কাজে ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা মেলার কাজে ব্যবহার করা হয়। গুরুত্বপূর্ন ভিআইপিগন আসলে মাঠে গাড়ী রাখা হয়। মাঠের সাথেই আছে উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলা ও জনস্বাস্থ্য শাখার অফিস। এছাড়া উপজেলা পরিষদের উত্তর- দক্ষিণ ও পূর্ব কোনে আগাছা জন্মে জোপজঙ্গলের সৃষ্টি হলেও এসব দেখার মত কেউ নেই। অথচ প্রতিবছর উপজেলাতে লাখ লাখ টাকা উন্নয়ন বাজেট আসে। সামান্য টাকা ব্যয় করলেই মাঠটিতে মাটি ভরাট বা সংস্কার করা যায়। উপজেলাতে দুটি মালির পদে দুইজন কর্মচারী নিয়োগ আছে বলে জানা গেছে। তারা জোপজঙ্গলগুলি পরিস্কার করেনা। ফলে অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে মাঠের চারিদিক সাইড এলাকা। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোন ড্রেন। ফলে বর্ষা মৌসুমে আষাঢ় – শ্রাবন মাসে মাঠটিতে হাঁটু পানি জমে পচা দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে উপজেলায় যেতে হয় মানুষের। পচা পানিতে মশা মাছির উপদ্রবে অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বর্তমান আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে মাঠটিতে হাঁটু পানি হলেও জলাবদ্ধতা বা এই পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মোঃ সায়দুল্লাহ মিয়া বলেন, মাঠটি সংস্কারের জন্য বাজেটের প্রয়োজন কিন্ত সেই বাজেট নেই। জোপজঙ্গল পরিস্কার জন্য উপজেলাতে মালি আছে, কিন্ত তারা হয়তো সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনা। গত দুই বছর যাবত আমি অসুস্থ হয়ে আছি। তাই উপজেলায় যেতে পারিনা বলে এসব খবর আমাকে কেউ জানায়নি।