২৭ জুন, নিজস্ব সংবাদদাতা:
ভৈরবে পুলিশ হত্যাসহ তিন মামলার পলাতক আসামী ফারুক মিয়া (৩০) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দীর্ঘ ৬ বছর যাবত পরিচয় গোপন করে সে পালিয়ে ছিল বলে জানায় পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে তাকে নরসিংদির শহর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নরসিংদির রায়পুরা উপজেলার পলাশতলি গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে ফারুক। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ভৈরব মেঘনা নদীর পাড়ে ছিনতাই করতে গিয়ে তাকে বাধা দেয়ায় আরিফুল ইসলাম নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে সে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। তখন ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করলে তাকে বিচারক কারাগারে পাঠায়। তার এক বছর পর ২০১৮ সালে সে আদালত থেকে জামিনে বের হয় পলাতক হয়। পুলিশ হত্যা ছাড়াও ভৈরব থানায় তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট তিনটি ওয়ারেন্ট আছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ভৈরব মেঘনা নদীর পাড়ে ডালিম নামের এক বাস সুপারভাইজার ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়। তাকে ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাঁচাতে গিয়েই পুলিশ কনস্টেবল আরিফুল ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মারা যায়। পরে আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ফারুক।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সালে গ্রেফতারকৃত ফারুক তার পরিবার নিয়ে ভৈরব শহরে ভাড়া বাসায় থাকত। পুলিশ কনস্টেবল আরিফুলকে হত্যার পর সে গ্রেফতার হয়েছিল কিন্ত পরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক হয়ে যায়। এরপর সে নিজ গ্রাম রায়পুরা পরিবারসহ চলে যায়। দীর্ঘদিন যাবত সে পরিচয় গোপন করে নরসিংদিতে অটোরিক্সা চালাত। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার মোট তিনটি ওয়ারেন্ট আছে থানায়। দীর্ঘদিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে বুধবার রাতে নরসিংদি শহর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।