ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খুন হয় নাদিম।। প্রতিপক্ষের অর্ধশত বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাট।। পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শত পরিবার।। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
  • ৩০০ Time View

২৩ জুন, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কর্তা গোষ্টির নাদিম খুন হওয়ার পর প্রতিপক্ষ সরকার গোষ্টির প্রায় অর্ধশত বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এখনও প্রতিদিন  চলছে ভাংচুর লুটপাট। ঈদের আগের দিন গত রোববার ( ১৬ জুন) গ্রামের কর্তা বাড়ী গোষ্টি ও সরকার বাড়ীর গোষ্টির মধ্য ফুটবল খেলা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্য ঝগড়া হয়। পরে ঝগড়াটি সংঘর্ষে রুপ নিলে এদিন বিকেলে প্রতিপক্ষ সরকার বাড়ীর লোকজনের বল্লমের  আঘাতে কর্তা বাড়ীর নাদিম (৫৫)  গুরুতর আহত হয়। তারপর তিনদিন চিকিৎসার পর গত ১৯ জুন বুধবার  ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত নাদিম মৃত্যুবরণ করলে পরদিন বৃহস্পতিবার তাকে বাড়ীতে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর খবরে প্রতিপক্ষ  সরকার বাড়ীর গোষ্টির শতাধিক পরিবার মামলা ও পুলিশের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে নিহত নাদিমের লাশ  দাফন শেষ করার পর কর্তা বাড়ীর গোষ্টির লোকজন সরকার বাড়ী ফাঁকা পেয়ে ( মানুষ শূন্য)   কমপক্ষে শতাধিক ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৌটুপি গ্রামটি উপজেলার  সাদেকপুর ইউনিয়নের অন্তভুক্ত। আর সাদেকপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সাফায়েত উল্লাহ মৌটুপি গ্রামের  সরকার বাড়ীর বংশধর। একারনে প্রতিপক্ষরা প্রথমেই চেয়ারম্যান সাফায়াতের বাড়ীঘর ভাংচুর – লুটপাট করে।

আজ রোববার সকালে সরজমিনে মৌটুপি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যানের বাড়ীসহ অন্তত শতাধিক বাড়ীঘর ভাংচুরসহ লুটপাট করে নিয়ে গেছে ঘরের আসবাপত্রসহ থালা বাসন, লেপ- তোষক,  ফ্রিজ, পাখা, ঘটিবাটি ইত্যাদি। বলতে গেলে এসব ঘরবাড়ীর কিছুই নেই। চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লার বোন তাসলিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন তারা লাশ দাফনের পর পর পুলিশের সামনেই আমাদের বাড়ীঘর লুটপাট ভাংচুর করেছে। গত দুইদিন যাবত গভীর রাতে কর্তা গোষ্টির লোকজন আমাদের সরকার বাড়ীর শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট করে নিয়ে গেছে। পুলিশের ভূমিকা ছিল নিরব। কিন্ত পুলিশ তাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে তারা লাশ দাফনের সময় নিরাপত্তায় ছিল। রাতের আধাঁরে ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট করেছে  পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে। একটি খুনকে কেন্দ্র করে এই গ্রামে যা ঘটেছে তা বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তবে মৌটুপি গ্রামে দুটি গোষ্টির মধ্য রয়েছে ৫৪ বছরের শত্রুতা। এই শত্রুতা বিরোধে এপর্যন্ত সর্বশেষ নাদিমসহ উভয় পক্ষের  ১২ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্য সরকার বাড়ীর  চেয়ারম্যানের দুই ভাই ওবায়েদ ও হেদায়েদ   ও কর্তা বাড়ীর রইছ উদ্দিন , কফিল উদ্দিন, মানিক ও নাদিম খুনের ঘটনা অন্যতম। ঈদের পরদিন থেকে গ্রামে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। কিন্ত গ্রামের বর্বর উছৃংখল মানুষগুলি পুলিশকেও ভয় পায়না বলে জানা গেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ একাধিকবার চেষ্টা করেও দুই গোষ্টির বিরোধ মীমাংসা করতে পারছেনা। খুন মারামারি সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্য এখনও মামলা আছে প্রায় ডজন খানেক এবং আসামী হয়ে আছে প্রায় ৫ শ। এসব মামলা আদালতে চলমান রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। গ্রামের কর্তা বাড়ীর বংশধর বৃদ্ধ আলফাজ উদ্দিন বলেন, ৫৪ বছর যাবত সরকার বাড়ীর লোকজন আমাদেরকে অত্যাচার নির্যাতন খুন জগম করছে। অপরদিকে সরকার বাড়ীর বংশধর  চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ বলেন, কর্তা বাড়ীর লোকজন আমার দুইভাইকে খুন করেছে। কথা বলে জানা গেছে, তারা  দুই পক্ষই আপোষ করতে  রাজী নয়। বর্তমানে সরকার বাড়ীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ এবং কর্তা বাড়ীরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক ও বাকী কর্তা। 

ঘটনার পর গতকাল শনিবার বিকেলে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল মনসুর ও ভৈরব পৌরসভার মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু গ্রামটি পরিদর্শন করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম সেন্টুসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ নাদিমের নামাজে জানাজায় অংশ নিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানালেও তাদের কথা কেউ শুনছেনা। চেয়ারম্যান আবুল মনসুর ও পৌর মেয়র বেনু বলেন আমরা গ্রামটি পরিদর্শন করে দুই পক্ষকে অনুরোধ করেছি শান্ত থাকতে। খুনের ঘটনা আইন অনুযায়ী চলবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ভাংচুর লুটপাট দুঃখজনক বলে তারা মন্তব্য করেন। 

  কর্তা বাড়ীর নেতা ও নিহত নাদিমের ভাই  বাকী কর্তা বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় তারা আমার ভাইকে তারা হত্যা করেছে। এর আগে তারা আমার বাবা ও চাচাকে খুন করেছে। কর্তা বাড়ীর  আরেক নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান  তোফাজ্জল হক বলেন, আমাদের বংশের নাদিমকে তারা হত্যার করার পর উত্তেজিত লোকজন তাদের বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাট করেছে সত্যি, তবে আমরা বাধা দিয়েছি, কজনকে আটকিয়ে রাখব। যুগ যুগ ধরে সরকার বাড়ীর লোকজন আমাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, খুন করছে।

সরকার বাড়ীর চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ বলেন, নাদিমকে আমাদের লোকজন আহত করেছে তার প্রমান নেই। সে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়ায় আহত হলেও তাকে প্রথমে হাসপাতালে চিকিৎসা না করে বাসায় চিকিৎসা করেছে। পরে অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়া হলে সে মারা যায়। আমার দুই ভাইকে তারা আগেও খুন করেছে। এখন আবার আমাদের শত পরিবারের বাড়ীঘর ভাংচুর লুটাপাট করেছে। আমরা তাদের সাথে লড়ে যাব, কখনও আপোষ করবনা।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ মৌটুপি গ্রামে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। তারপরও গ্রামের কিছু উছৃংখল জনতা রাতের আধাঁরে পুলিশের চোখ ফাকিঁ দিয়ে  সরকার বাড়ীর বেশকিছু ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট করেছে। গ্রামে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। আইনশৃংখলার অবনতি ঘটালে আমরা কোন পক্ষকে ছাড় দিবনা বলে তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ভৈরবে যুবলীগ নেতা কর্তৃক  প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অফিসে কক্ষে মারধোর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খুন হয় নাদিম।। প্রতিপক্ষের অর্ধশত বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাট।। পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শত পরিবার।। 

Update Time : ০৮:৩৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

২৩ জুন, নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কর্তা গোষ্টির নাদিম খুন হওয়ার পর প্রতিপক্ষ সরকার গোষ্টির প্রায় অর্ধশত বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এখনও প্রতিদিন  চলছে ভাংচুর লুটপাট। ঈদের আগের দিন গত রোববার ( ১৬ জুন) গ্রামের কর্তা বাড়ী গোষ্টি ও সরকার বাড়ীর গোষ্টির মধ্য ফুটবল খেলা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্য ঝগড়া হয়। পরে ঝগড়াটি সংঘর্ষে রুপ নিলে এদিন বিকেলে প্রতিপক্ষ সরকার বাড়ীর লোকজনের বল্লমের  আঘাতে কর্তা বাড়ীর নাদিম (৫৫)  গুরুতর আহত হয়। তারপর তিনদিন চিকিৎসার পর গত ১৯ জুন বুধবার  ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত নাদিম মৃত্যুবরণ করলে পরদিন বৃহস্পতিবার তাকে বাড়ীতে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর খবরে প্রতিপক্ষ  সরকার বাড়ীর গোষ্টির শতাধিক পরিবার মামলা ও পুলিশের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে নিহত নাদিমের লাশ  দাফন শেষ করার পর কর্তা বাড়ীর গোষ্টির লোকজন সরকার বাড়ী ফাঁকা পেয়ে ( মানুষ শূন্য)   কমপক্ষে শতাধিক ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৌটুপি গ্রামটি উপজেলার  সাদেকপুর ইউনিয়নের অন্তভুক্ত। আর সাদেকপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সাফায়েত উল্লাহ মৌটুপি গ্রামের  সরকার বাড়ীর বংশধর। একারনে প্রতিপক্ষরা প্রথমেই চেয়ারম্যান সাফায়াতের বাড়ীঘর ভাংচুর – লুটপাট করে।

আজ রোববার সকালে সরজমিনে মৌটুপি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যানের বাড়ীসহ অন্তত শতাধিক বাড়ীঘর ভাংচুরসহ লুটপাট করে নিয়ে গেছে ঘরের আসবাপত্রসহ থালা বাসন, লেপ- তোষক,  ফ্রিজ, পাখা, ঘটিবাটি ইত্যাদি। বলতে গেলে এসব ঘরবাড়ীর কিছুই নেই। চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লার বোন তাসলিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন তারা লাশ দাফনের পর পর পুলিশের সামনেই আমাদের বাড়ীঘর লুটপাট ভাংচুর করেছে। গত দুইদিন যাবত গভীর রাতে কর্তা গোষ্টির লোকজন আমাদের সরকার বাড়ীর শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট করে নিয়ে গেছে। পুলিশের ভূমিকা ছিল নিরব। কিন্ত পুলিশ তাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে তারা লাশ দাফনের সময় নিরাপত্তায় ছিল। রাতের আধাঁরে ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট করেছে  পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে। একটি খুনকে কেন্দ্র করে এই গ্রামে যা ঘটেছে তা বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তবে মৌটুপি গ্রামে দুটি গোষ্টির মধ্য রয়েছে ৫৪ বছরের শত্রুতা। এই শত্রুতা বিরোধে এপর্যন্ত সর্বশেষ নাদিমসহ উভয় পক্ষের  ১২ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্য সরকার বাড়ীর  চেয়ারম্যানের দুই ভাই ওবায়েদ ও হেদায়েদ   ও কর্তা বাড়ীর রইছ উদ্দিন , কফিল উদ্দিন, মানিক ও নাদিম খুনের ঘটনা অন্যতম। ঈদের পরদিন থেকে গ্রামে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। কিন্ত গ্রামের বর্বর উছৃংখল মানুষগুলি পুলিশকেও ভয় পায়না বলে জানা গেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ একাধিকবার চেষ্টা করেও দুই গোষ্টির বিরোধ মীমাংসা করতে পারছেনা। খুন মারামারি সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্য এখনও মামলা আছে প্রায় ডজন খানেক এবং আসামী হয়ে আছে প্রায় ৫ শ। এসব মামলা আদালতে চলমান রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। গ্রামের কর্তা বাড়ীর বংশধর বৃদ্ধ আলফাজ উদ্দিন বলেন, ৫৪ বছর যাবত সরকার বাড়ীর লোকজন আমাদেরকে অত্যাচার নির্যাতন খুন জগম করছে। অপরদিকে সরকার বাড়ীর বংশধর  চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ বলেন, কর্তা বাড়ীর লোকজন আমার দুইভাইকে খুন করেছে। কথা বলে জানা গেছে, তারা  দুই পক্ষই আপোষ করতে  রাজী নয়। বর্তমানে সরকার বাড়ীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ এবং কর্তা বাড়ীরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক ও বাকী কর্তা। 

ঘটনার পর গতকাল শনিবার বিকেলে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল মনসুর ও ভৈরব পৌরসভার মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু গ্রামটি পরিদর্শন করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম সেন্টুসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ নাদিমের নামাজে জানাজায় অংশ নিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানালেও তাদের কথা কেউ শুনছেনা। চেয়ারম্যান আবুল মনসুর ও পৌর মেয়র বেনু বলেন আমরা গ্রামটি পরিদর্শন করে দুই পক্ষকে অনুরোধ করেছি শান্ত থাকতে। খুনের ঘটনা আইন অনুযায়ী চলবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ভাংচুর লুটপাট দুঃখজনক বলে তারা মন্তব্য করেন। 

  কর্তা বাড়ীর নেতা ও নিহত নাদিমের ভাই  বাকী কর্তা বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় তারা আমার ভাইকে তারা হত্যা করেছে। এর আগে তারা আমার বাবা ও চাচাকে খুন করেছে। কর্তা বাড়ীর  আরেক নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান  তোফাজ্জল হক বলেন, আমাদের বংশের নাদিমকে তারা হত্যার করার পর উত্তেজিত লোকজন তাদের বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাট করেছে সত্যি, তবে আমরা বাধা দিয়েছি, কজনকে আটকিয়ে রাখব। যুগ যুগ ধরে সরকার বাড়ীর লোকজন আমাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, খুন করছে।

সরকার বাড়ীর চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ বলেন, নাদিমকে আমাদের লোকজন আহত করেছে তার প্রমান নেই। সে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়ায় আহত হলেও তাকে প্রথমে হাসপাতালে চিকিৎসা না করে বাসায় চিকিৎসা করেছে। পরে অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়া হলে সে মারা যায়। আমার দুই ভাইকে তারা আগেও খুন করেছে। এখন আবার আমাদের শত পরিবারের বাড়ীঘর ভাংচুর লুটাপাট করেছে। আমরা তাদের সাথে লড়ে যাব, কখনও আপোষ করবনা।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ মৌটুপি গ্রামে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। তারপরও গ্রামের কিছু উছৃংখল জনতা রাতের আধাঁরে পুলিশের চোখ ফাকিঁ দিয়ে  সরকার বাড়ীর বেশকিছু ঘরবাড়ী ভাংচুর লুটপাট করেছে। গ্রামে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। আইনশৃংখলার অবনতি ঘটালে আমরা কোন পক্ষকে ছাড় দিবনা বলে তিনি জানান।