১৯ জুন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার সময় গুরুতর আহত নাদিম কর্তা (৫৫) আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেছে। উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে নিহত নাদিম। ঈদের আগের দিন রোববার গ্রামের আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৌটুপি গ্রামের কর্তা বাড়ী ও সরকার বাড়ীর লোকজনের মধ্য সংঘর্ষ বাঁধলে এদিন নাদিম গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ঢাকায় তিনদিন চিকিৎসার পর আজ দুপুরে সে হাসপাতালে মারা যায়। তার ভাই বাকী কর্তা মৃত্যুর খবরটি নিশ্বিত করেছেন। তবে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত তার লাশ ভৈরবের বাড়ীতে পৌঁছেনি। কর্তা বাড়ীর নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, নাদিমের লাশের ময়না তদন্ত হবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাই লাশ ভৈরব পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। পুলিশ জানায় নিহত নাদিম কর্তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুটি ওয়ারেন্ট আছে।
এদিকে জানা গেছে, তার মৃত্যুর খবর শুনে আজ বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে আবারও দুই গোষ্টির মধ্য সংঘর্ষ শুরু হয়। সরকার বাড়ীর লোকজন জানায়, কর্তা বাড়ীর লোকজন নাদিমের মৃত্যুর খবর শুনে তারা সরকার বাড়ীর লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষ বাঁধলে এলাকার মেম্বার লাদেন (৫০) সহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। পরে লাদেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাজিতপুর জুহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যান্য আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে। এখানে উল্লেখ্য মৌটুপি গ্রামে দুই বংশের মধ্য ৫৪ বছর যাবত শত্রুতায় ঝগড়া সংঘর্ষে এপর্যন্ত কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকার সাদেকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সরকার বাড়ীর গোষ্টির নেতা সাফায়েতউল্লা এই প্রতিনিধিকে বলেন, ঈদের আগে থেকে ঝগড়া সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ঈদের আগের দিন সংঘর্ষের সময় নাদিম কার আঘাতে আহত হয়েছে তা আমরা জানিনা। আজ মৃত্যুর খবর শুনে তারা আবারও সরকার বাড়ীর ওপর হামলা করলে মেম্বার লাদেন গুরুতর আহত হয়। তিনি বলেন আমি বাড়ীতে নেই, ভৈরবের বাসায় বসে খবরটি শুনেছি।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, নাদিমের মৃত্যুর খবর তারা আমাকে এখনও অবগত করেনি। তবে আজ বুধবার বিকেলে সংঘর্ষের খবর শুনার পর পুলিশ পাঠিয়েছি ঘটনাস্থলে। কি কারনে দুই পক্ষ আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এখনও জানিনা। তিনি স্বীকার করেন নিহত নাদিমের নামে থানায় দুটি সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট আছে।