১১ জুন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে নেশাগ্রস্থ ছেলে সজীব মিয়া (২৩)’র বিরুদ্ধে তার মা অন্জনা বেগম ইউএনও শাকিলা বিনতে মতিনের কাছে এক লিখিত অভিযোগ দেন। মায়ের অভিযোগ ছিল তার ছেলে প্রতিদিন ঘরে বসে নেশা করে থাকে। নেশার টাকা মা দিতে না পারলে ঘরের আসবাপত্র মূল্যবান জিনিষ বিক্রি করে দিত। বাধা দিলে মাকে মারধোর নির্যাতন করত। ছেলের যন্ত্রনা অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গতকাল সোমবার তার মা অন্জনা বেগম ছেলের বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তার নির্দেশে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নেশাগ্রস্থ সজীবকে শহরের লক্ষীপুর এলাকার বাসা থেকে আটক করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই সাইফুল ইসলাম। পৌর শহরের লক্ষীপুর এলাকার মৃত আংগুর মিয়ার ছেলে সজীব। সে পেশায় অটোচালক। তাকে আটক করে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আনার পর ভ্রাম্যমান আদালতে সে নিজের অপরাধ স্বীকার করলে আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেন।
এছাড়া একইদিন আজ মঙ্গলবার সকালে জাকির হোসেন (২৭) নামের এক মাদকাসক্তকে ভৈরব রেলস্টেশন থেকে আটক করে মাদকদ্রব্যের কর্মকর্তারা। তার বাড়ী কিশোরগন্জের মিটামইন এলাকায়। একই অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
সজীবের মা অন্জনা বেগম বলেন, আমার ছেলে একজন অটোচালক। তাকে ভাল করার জন্য বিয়ে করিয়েছি। তার একটি সন্তান আছে, তবে বউ পরকিয়া করে চলে যাওয়ার পর থেকে সে মাদকাসক্ত হয়ে টাকার জন্য আমাকে মারধোর নির্যাতন করে। ঘরের জিনিষপত্র বিক্রি করে দেয়। আমার একটি মেয়ে আছে, তাকে নিয়ে অসহ্য যন্ত্রনায় আমি ইউএনও’র কাছে অভিযোগ দিয়েছি। ৬ মাসের সাজা দিয়েছে তাকে, ৬ বছর সাজা দিলে খুশী হতাম। এমন কুপুত্র যেন কোন মায়ের ঘরে জন্ম না নেয় এই কামনা করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক শাকিলা বিনতে মতিন জানান, মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আটক করে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। একই অপরাধে মাদকাসক্ত জাকিরকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করলাম। দুজনই আদালতের কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।