১০ জুন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ছিল ৫ জুন। নির্বাচনে ৪ দিন পর আজ সোমবার সকালে বিজয়ী প্রার্থী মহিলা ভাইস – চেয়ারম্যান সানজিদা ইয়াছমিন পরাজিত প্রার্থী মনোয়ারা বেগমের বাসায় ফুল মিষ্টি নিয়ে হাজির হলেন। এবারের নির্বাচনে সানজিদা ইয়াছমিন ভোট পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মনোয়ারা বেগম পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৫৫ ভোট। এক সময় মনোয়ারার কাছের সহকর্মী ছিল সানজিদা। বলা যায় তার শিষ্য ছিল। কয়েক বছর আগে মনোয়ারা তার সহকর্মী শিষ্য সানজিদাকে ডেকে এনে কিশোরগন্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী করেছিলেন কিন্ত তখন পরাজিত হয়ে যান সানজিদা। যিনি ছিলেন মনোয়ারা বেগমের শিষ্য সেই সানজিদা ইয়াছমিন এবার গুরুর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এতে মনে মনে কষ্ট বেদনা রয়েছে মনোয়ারার কিন্ত ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়ে গেল সানজিদার। বিজয়ী হওয়ার চারদিন পর সানজিদা ইয়াছমিন পরাজিত প্রার্থী এবং তার গুরুর বাসায় ফুল মিষ্টি নিয়ে হাজির হন। এসময় তারা কোলাকোলি করেন, ফুল দেন ও একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান। এলাকাবাসী বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। দুইজনের মধ্য সোহার্দ্যপূর্ন ভালবাসা ও আন্তরিকতায় ভোটারগন খুশী হয়েছেন।

এখানে উল্লেখ্য বিগত দুই মেয়াদে মনোয়ারা বেগম ভৈরব উপজেলা পরিষদ এর মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তারই শিষ্য সানজিদার কাছে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে গেলেন তিনি।
এলাকার নেতা আজিজুল হক বলেন, একজন বিজয়ী প্রার্থী কখনও তার প্রতিদ্বন্দি পরাজিত প্রার্থীর বাসায় ফুল মিষ্টি নিয়ে সহজে যাননা। আমাদের সমাজটা এরকম। সানজিদা ইয়াছমিন তার প্রতিদ্বন্দি পরাজিত প্রার্থীর বাসায় গিয়ে দোয়া চেয়েছেন, ফুল দিয়েছেন, মিষ্টি খাওয়াইছেন তা ভাল লক্ষণ। দুজনের আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ হলাম।
এবিষয়ে পরাজিত প্রার্থী মনোয়ারা বেগম বলেন, সানজিদা আমার বাসায় হাজির হয়েছে, এতে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি, দোয়া করছি। সানজিদাকে আমিই রাজনীতিতে এনেছিলাম, তাই তাকে সবসময় সহযোগীতা করব বলেছি।
নির্বাচনে বিজয়ী মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান সানজিদা ইয়াছমিন বলেন, মনোয়ারা আপাকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা করি। নির্বাচনে জয় – পরাজয় আছে, থাকবে। আমার সৌভাগ্য আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আমি নতুন তাই মনোয়ারা আপার সহযোগীতা চাই। একারনে ফুল মিষ্টি নিয়ে আজ তার বাসায় গিয়ে দোয়া চেয়েছি। তিনি আমার মুরুব্বি হিসেবে আমাকে দোয়া করেছেন, আনন্দিত হয়েছেন তার বাসায় যাওয়াতে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।