৩১ মে, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে ট্রেন থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে গিয়ে সোহেল তানভীর (২১) নামের এক মালশিয়াগামী যুবক নিখোঁজ হয়েছে। ওই যুবক আজ শুক্রবার মালশিয়াগামী বিমান যাত্রী ছিল কিন্ত বিমানের যাত্রা বাতিল হওয়ায় সে তার বাবার সাথে বিকেলে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে উপকুল একপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রী হয়ে আখাউড়া যাচ্ছিল। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫ টায় ভৈরব রেলস্টেশনে বিরতি দিয়ে ছাড়ার পর মেঘনা নদীর ওপর রেলসেতু অতিক্রমকালে ট্রেনের দরজা থেকে হঠাৎ পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়। ব্রাক্ষাণবাড়ীয়ার আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রাম গ্রামের আমির উদ্দিন ( ওরফে মেরাজ) এর ছেলে সোহেল। খবর পেয়ে ভৈরব রেলওয়ে ও নৌ-পুলিশসহ ফায়ারকর্মীরা নদীতে খোঁজাখোঁজি করেও রাত ৮ টা পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি।
তার বাবা আমীর উদ্দিন মেরাজ জানান, আমার ছেলে সোহেল তানভির ভিসা পেয়ে আজ শুক্রবার বিমানযোগে মালশিয়া প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সকালে আমি নিজ বাসা থেকে ছেলেকে নিয়ে বিমানবন্দরে যায়। কিন্ত বিমানের যাত্রা বাতিল হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে বিকেলে উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেনে ট বগিতে ১১ ও ১২ নাম্বার সিটে বসে আখাউড়ায় নিজ বাড়ীতে ফিরছিলাম। ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশন ছাড়ার পর মেঘনা নদীর ওপর রেলসেতুতে ট্রেনটি পৌঁছলে সে হঠাৎ করে নদীতে পড়ে যায়। এসময় সে সিট থেকে উঠে ট্রেনের দরজায় দাঁড়ানো ছিল। কিভাবে সে ট্রেনের দরজা থেকে নদীতে পড়ল আমি বুঝতে পারছিনা। তবে ধারনা করছি প্রবল বাতাস বা দরজার ধাক্কা লেগে পড়তে পারে। তার পরনে শার্ট প্যান্টসহ পায়ে স্কেচ জুতা ছিল। তারপর আশুগন্জ রেলস্টেশনে নেমে আমি ঘটনাটি ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করি। তারপর ভৈরব নৌ- পুলিশ ও ফায়ার কর্মীরা নদীতে চেষ্টা করেও রাত ৮ টা পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি। এমন দুঃখজনক ঘটনা আমার জীবনে ঘটবে কখনও ভাবতে পারেনি। সংসারের সুখের জন্য ছেলেকে মালশিয়া পাঠাতে ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্ত দুর্ভাগ্য এখন ছেলেকেই হারালাম।
ভৈরব নৌ- থানার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, রেলওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাটি আমাকে অবহিত করলে স্থানীয় ফায়ারকর্মীদের নিয়ে রাত ৮ টা পর্যন্ত নদীতে খোঁজাখোঁজি করলেও যুবকের সন্ধান পায়নি। মেঘনা নদীতে প্রচুর স্রোত ছিল। যদি সে পানিতে ডুবে মারা যায় তবে লাশ দুইতিন পর ভেসে উঠতে পারে আমাদের ধারনা। কাল শনিবার নদীতে আবারও তাকে খোঁজব বলে তিনি জানান।
ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলিম শিকদার জানান, যাত্রী যুবকের বাবা সন্ধায় ঘটনাটি থানায় এসে আমাকে অবহিত করলে আমি নৌ- পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে ঘটনাটি জানায়। তারা নদীতে চেষ্টা করলেও তার খোঁজ মেলেনি।