২৬ মে, নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভৈরবে গণপিটুনিতে এক ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টাকারী রুবেল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত ২ জনকে আজ রোববার দুপুরে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলো রাজনগর গ্রামের জহির মিয়া (৪০) ও মিষ্টু মিয়া (৩৮)। আজ রোববার সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগন্জ পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় ভৈরব থানায় শনিবার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে।
নিহত যুবক রুবেল (৪০) রংপুর শহরের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহটি শনিবার রাতেই উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে রুবেল মিয়া রাজনগর জহির মিয়ার বাড়ির পাশে সুইপারের কাজ করতে যায়। ভৈরবে তার কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী ঠিকানা নেই। সন্ধ্যার দিকে ওই এলাকায় জহির মিয়ার বাড়ির পাশে ৬ বছরের একটি কন্যা শিশুকে জঙ্গলের ভিতর একটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটির চিৎকার চেচামোচিতে স্থানীয়রা ধর্ষণকারীকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। মারধোরে সুইপার শ্রমিক রুবেল গুরুতর আহত হলে এলাকার জহির মিয়া তাকে গণপিটুনী থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এসময় চিকিৎসারত অবস্থায় রুবেল হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহমেদ বলেন, জহির মিয়ার নামের এক লোক রুবেলকে রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করার ঘন্টাখানেকের মধ্যে সে মারা যায়। পরে তাকে নিয়ে আসা জহির মিয়া হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। তারপর ভৈরব থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি রাতেই নিয়ে যায়।
শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান ভূইয়া রিপন বলেন, রাজনগর গ্রামের জহির মিয়ার ভাতিজিকে ওই যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় পাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে গণপিটুনি দেয়।
এ বিষয় ভৈরব থানা উপরিদর্শক এসআই লুৎফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে জানতে পারি গণপিটুনিতে রুবেল মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ রোববার দুপুরে রাজনগর গ্রামের জহির মিয়া ও মিষ্টু মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে।